আমাজন নিস সাইট A to Z গাইডলাইন।


আমাজন নিস সাইট A to Z গাইডলাইন।
আমাজন নিস সাইট A to Z গাইডলাইন।

একটি নিস সাইট কীভাবে শুরু হয়, কীভাবে র‌্যাংক হয়, কীভাবে আর্নিং শুরু করে তা নিয়ে অনেক অনেক টিউটোরিয়াল আছে। ব্যাপক, বিস্তরই আছে। কিন্তু এখানে আমি জাস্ট একটা সামারি দেবো। যেটা আপনার মাথায় যদি গেঁথে রাখেন তাহলে পুরো প্রক্রিয়াটা সহজেই বুঝতে পারবেন। আর এটা খুবই জরুরি।

আমি কয়েকটা স্তরে, খুবই সংক্ষেপে বলবো।



১. পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত স্থির
আপনি নিস সাইট বানিয়ে ইনকাম করবেন পরিকল্পনা করছেন। এই প্রক্রিয়ার শুরুতে মার্কেট দেখুন। মার্কেট মানে আমাজন সাইটটি। সেখানে হাজার হাজার ধরনের প্রোডাক্ট আছে। সেগুলো থেকে দেখে দেখে স্থির করুন কোন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করবেন। সেটা স্থির করুন।
প্রোডাক্ট বাছাইয়ের সময় লক্ষ্য রাখবেন: এই প্রোডাক্ট রিলেটেড প্রোডাক্ট এবং টুলস জাতীয় বিষয় আছে কিনা? যে প্রোডাক্টটা বাছাই করবেন সেটার রিভিউ দেখলেই বুঝবেন সেটা মার্কেটে কীরকম ডিমান্ড আছে?



২. কীওয়ার্ড বাছাই

এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কীওয়ার্ড সিলেকশনে ভুল করলে সবই ভুল, সবই লস। সো সাবধানে কীওয়ার্ড বাছাই করবেন। সাধারণত এই প্রক্রিয়ায় কীওয়ার্ড বাছাই করলে লাভজনক হয়, সহজে র‌্যাংক করা যায়:

Product Name/Keyword + Review
Product Name/Keyword + Reviews
Best + Product Name/Keyword
Cheap + Product Name/Keyword

কীওয়ার্ড বাছাই করার জন্য গুগল এডওয়ার্ডস, লংটেইল প্রো প্লাটিনাম ধরণের টুলসগুলো আপনার কাজে লাগতে পারে। কীওয়ার্ড বাছাইয়ের জন্য এই লেখাটি আপনার খুবই দরকার: https://marketever.com/keyword-research-amazon-niche/



৩. ডোমেইন এবং হোস্টিং

কীওয়ার্ড ফাইনাল হলে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনে ফেলুন। এতে ডোমেইনের বয়স বাড়বে। ডোমেইন পুরানো হলে আরও ভালো। ডোমেইন কেনার সময় লক্ষ্য রাখবেন: আপনার কীওয়ার্ড সেম টু সেম যেন না হয়। এটাকে এক্সাক্ট ম্যাচ ডোমেইন বলে। যেটাতে গুগল পেনাল্টি খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পারসিয়াল ম্যাচ ডোমেইন ভালো। অর্থাৎ আপনার কীওয়ার্ডের সাথে আংশিক মেলে এরকম কিছু। মাত্র ১২ ডলারে এক বছরের জন্য হোস্টিং এবং ফ্রি ডোমেইন পেতে এই টিউটোরিয়ালটি দেখে নিতে পারেন: http://www.azonstar.com/buy-perfect-domain-best-hosting/



৪. কনটেন্ট রাইটিং

আপনি যদি নিজে কনটেন্ট লিখতে পারেন তাহলে তো খুবই ভালো। আর যদি না পারেন তাহলে কনটেন্ট প্রোভাইডার থেকে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে কনটেন্ট অর্ডার দিয়ে ফেলুন আগেভাগেই। সাধারণত নিস সাইটের জন্য নিম্নোক্ত কনটেন্টগুলো হলেই হবে:

একটি মেইন আর্টিক্যাল/বায়িং গাইড: ২-৩ হাজার শব্দের
রিভিউ আর্টিক্যাল: ১০-১৫ টি, প্রতিটি ৮০০-১২০০ শব্দের
ইনফরমেটিভ আর্টিক্যাল: ৭-১০ টি, প্রতিটি ৫০০-১২০০ শব্দের

মোটামুটি এই কয়েকটি আর্টিক্যাল হলেই যথেষ্ট।


৫. নিস সাইট ডিজাইন

নিস সাইট ডিজাইন নিয়ে বেশি মাথা ঘামানোর আদৌ দরকার নেই। সাইট যতো হালকা-পাতলা হবে ততই ভালো। ডিজাইনের চেয়ে কনটেন্ট গুরুত্বপূর্ণ। শুরুতে ডিজাইন, পেইড থিম, পেইড প্লাগিন ইউজ না করে ফ্রি থিম ও প্লাগিন ইউজ করুন। সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচবে।

থিম: ওয়ার্ডপ্রেসের ডিফল্ট থিম অথবা ওয়ার্ডপ্রেস ডিরেক্টরি থেকে নিন।
প্লাগিন লিস্ট: নিম্নোক্ত প্লাগিনগুলো লাগবে আপনার-
1. All in One SEO Pack
2. Google XML Sitemap
3. Jetpack by WordPress.com

চাইলে আরও অনেক অনেক প্লাগিন ইন্সটল করতে পারেন। কিন্তু অযথা।


৬. অনপেজ এসইও

আপনার কনটেন্টেগুলো যদি ভালোভাবে সেটাপ করতে পারেন বিভিন্ন ট্যাগগুলো মেনে তাহলে অনপেজ এসইও নিয়ে আর আপনাকে ভাবতে হবে না। আর All in One SEO Pack প্লাগিনটা ভালো করে সেটাপ করে নিলে তো সোনায় সোহাগা। দ্যাটস এনাফ।


৭. অফপেজ এসইও

এখানে অনেক কাজ। উপরের কাজগুলো করতে আপনার সর্বোচ্চ এক মাস লাগবে। আর অফপেজ কাজের জন্য আপনার লাগবে ৩-৬ মাস। ভালো কাজ করলে হয়তো আরও কম লাগবে। কি কি করতে হবে? অনেক কিছুই। তবে কীভাবে কম কাজ করে দ্রুত সাইট র‌্যাংক করাতে পারবেন সেটাই বলছি-

    ক. সোশ্যাল শেয়ার: ১৫-২০ টি সোশ্যাল নেটওয়ার্কে আপনার সাইটটি শেয়ার করুন। হোমপেজ বেশি করবেন। ভেতরের পেজ কম।
    খ. সোশ্যাল প্রোফাইল: ১৫-২০ টি সোশ্যাল সাইটে প্রোফাইল তৈরি করুন যেখানে আপনার সাইটটির লিংক রাখা যাবে।
    গ. সোশ্যাল বুকমার্ক: এটাও জরুরি।
    ঘ. কোশ্চেন এন্ড আনসার সাইট: ইয়াহু আনসার এবং কৌরার মতো সাইট ইউজ করুন

এছাড়াও আরও এরকম বেশ কিছু কাজ করবেন। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো: ব্লগ কমেন্ট এবং গেস্ট ব্লগিং। আর যদি ইনভেস্ট এভিলিটি থাকে তাহলে পিবিএন।

ব্লগ কমেন্টিং: বিভিন্ন এনকর টেক্সট এবং আপনার নিস সাইটের লিংক দিয়ে প্রতিদিন ৫-১০ টি ব্লগ কমেন্ট করবেন। অবশ্যই রিলেটেড ব্লগ।

গেস্ট পোস্ট: আপনার নিস/কীওয়ার্ড রিলেটেড ভ্যালুয়েবল সাইট খোঁজে বের করুন যারা গেস্ট পোস্ট এলাউ করে। প্রতি মাসে অন্তত ৮-১০ টি গেস্ট পোস্ট সাবমিট করুন আপনার সাইটের লিংকসহ।

এরকমভাবে যদি কাজ করেন তাহলে মোটামুটি ১ মাসের মধ্যেই আপনার কীওয়ার্ড গুগলের ২ অথবা ৩ নাম্বার পেজে চলে আসবে। ২/৩ মাসের মধ্যেই প্রথম পেজে চলে আসবে যদি না গুগল সেন্ডবক্সে ধরা খান। অর্থাৎ শুরু করার ৪/৫ মাসের মাথায়ই আপনার ইনকাম শুরু হওয়ার সম্ভাবনা।


৭. প্যাসিভ ইনকাম

সাধারণত একটা সাইট র‌্যাংক হয়ে গেলে ঐ সাইটের জন্য তেমন কোনো কাজ করা লাগে না। ইনকাম তখন অটোমেটিক হয়। আর মজাটা তখনই।


সমাপ্তিকথন

জাস্ট একটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করলাম। কোথায় থেকে, কীভাবে কাজ শুরু করতে হয় আর কী কী করতে হয়। এবার বিস্তারিত জানার জন্য এক্সপার্ট ভাইয়েরা তো আছেনই। আর আছে গুগল মামা আর বিভিন্ন রিসোর্স সেন্টার- অথোরিটি ব্লগসমূহ।



রিসোর্স


By Pantho Bihosh 
আমাজন নিস সাইট A to Z গাইডলাইন। আমাজন নিস সাইট A to Z গাইডলাইন। Reviewed by Admin on 10:06 PM Rating: 5

3 comments:

  1. প্রোডাক্ট রিলাইটেট আর্টিকেল লিখে নিশ সাইট তৈরী করা যাবে?

    ReplyDelete
  2. যেমন আমাজনের র্নিদিষ্ট পণ্য নিয়ে।

    ReplyDelete
  3. পড়ে ভালো লাগলো। লেখককে ধ্ন্যবাদ।

    ReplyDelete

Powered by Blogger.